ঢাকা, সোমবার   ০২ জুন ২০২৫

নতুন রূপে আসছে একুশে টিভি 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৫, ৩১ মে ২০২৫ | আপডেট: ২১:০২, ৩১ মে ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। এরপরই বদলে যাচ্ছে আপনার প্রিয় টিভি স্টেশনের পর্দা। নয়া ও ব্যতিক্রমী লুকে সাজবে সংবাদ-অনুষ্ঠান। দর্শক হিসেবে আপনি তাই দেখতে পারবেন যা আপনি দেখতে চান। আপনাদের জন্যই নতুন করে, নতুন আঙ্গিকে আসছি আমরা।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পহেলা জুন (রোববার) সকাল ৭টার সংবাদ দিয়েই নতুন রূপে দেখা দেবে দর্শকদের কাছে। ধীরে ধীরে ডিজিটাল প্লাটফর্মেও যোগ হবে ইউনিক ও ভিন্নতর আয়োজন। 

২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল, বাঙালির চিরায়ত উৎসব বাংলা নববর্ষের দিনে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন। মাত্র ২৮ মাসের মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্রময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে ইটিভি জয় করে কোটি মানুষের মন। 

প্রতিবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবিদেশি দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। এ বছরের ১৪ এপ্রিল ২৫ বছরে পা দেয় একুশে টেলিভিশন। অপ্রতিরোধ্য পথচলা রোধ করতে বারবার বাঁধার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সংকট কাটিয়ে বারবার মাথা তুলেও দাঁড়িয়েছে একুশে।  ‘একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ মানে মুক্ত চিন্তার খোলা জানালা’ - একুশের এই শক্তির বলে বলীয়ান হয়েই যেন তার বীরদর্পের পথচলা।

এনিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম জানান, জন্মলগ্ন থেকেই একুশে টেলিভিশন গণমানুষের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিল বলেই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার। ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি ভোর রাতেই আমাকে আটক করে হাসিনার পুলিশ। মিথ্যে ও হয়রানির মামলায় জেলে পাঠানোর পর, নানা হুমকি দেয়া হয়। তাতেও আমাকে দমাতে না পেরে ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে এস আলম গ্রুপ ইটিভি দখল করে নেয়।

“দখল করে নেয়ার পর থেকে সরকারের দালালিতে ব্যস্ত হয় দখলকারীরা। এতে একুশের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। তারা প্রতিষ্ঠানটি ভেতরে নানা ভাবে লুটপাট চালায়। লাভের টেলিভিশনকে নামায় লোকসানে। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ যেমন মুক্তি পায় তেমনি দখল হওয়া ইটিভিও মুক্তি পায়। ওই দিন একুশের কর্মীরা আমাকে একুশে টেলিভিশনে নিয়ে আসেন। জাতি মুক্তির স্বাদ পায়। একুশে টেলিভিশনও মুক্তির স্বাদ পায়। আমরা এখন নতুন যাত্রা শুরু করেছি। এতে আবার দর্শক জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। আমার অঙ্গীকার হলো ইটিভি  স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে  এগিয়ে যাবে।”- বলেন ইটিভি চেয়ারম্যান।

“এখন যুগের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এখনকার দর্শকদের চাহিদাও ভিন্ন। তবে আমরা শিশু-তরুণ বৃদ্ধ সব বয়সের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই নতুন নতুন অনুষ্ঠান নির্মাণ করছি, তেমনি ইটিভির ফ্লাগশিপ অনুষ্ঠানগুলোও আবার চালু করেছি। মোট কথা, ‘পরিবর্তনে অঙ্গিকারবদ্ধ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর সৃজনশীল অনুষ্ঠান প্রচারের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে একুশে টেলিভশন। ১লা জুন থেকে ইটিভিকে নতুন রূপে দেখতে পাবেন সবাই।”- যোগ করেন চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম।

ইটিভির নতুন রূপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি তাসনোভা মাহবুব সালাম বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, দর্শক চাহিদার পাশাপাশি সময়োপযোগী নৈপূণ্যের ছাপ দিতে বদলে যাচ্ছে একুশে টিভি। সংবাদ, অনুষ্ঠানসহ সবকিছুতেই যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। থাকছে ব্যতিক্রমী সব আয়োজন। সংবাদ পরিবেশনাতেও থাকছে নতুনত্ব। সবকিছু মিলিয়ে নতুন রূপে আপনার কাছে আসছে একুশে টেলিভিশন। 

“অনুষ্ঠান-সংবাদে নতুনত্ব থাকলেও ইটিভির তার শেকড়কে আঁকড়েই ধরবে। ঐতিহ্য লালন করেই সবকিছু সাজানো হয়েছে। ইটিভির প্লাটফর্ম হবে আগামী প্রজন্মের টেলিভিশন”- বলেন তাসনোভা মাহবুব সালাম।

এদিকে, প্রতিদিনের সংবাদ ও অনুষ্ঠানমালায় যেমন গুণগত ও পর্দার রূপে পরিবর্তন আসছে, তেমনি বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতেও থাকবে দারুণসব আয়োজন। এর অংশ হিসেবে ঈদুল আজহায় ৭ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন ইটিভির দর্শকরা। 

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি